Pacho saren of remote village Baliguma, P.S.-
Joypur, Dist Bankura was accused as a witch and then he was brutally tortured
by the villagers. It was an incident of last week of December 2014.
Pacho went to nearest hospital and he was admitted at that time. On 4th January
2015, when he released by the doctor and tried to enter in his village some
villagers resist him. Pacho and his family were driven out. At last, local
administration, our organization “Science and Rationalists’ Association”
involved in this case. Joypur Police station has taken a bold step by arresting
a villager. On 12 th January we met the villagers and convinced them. On 18th
evening we arranged an anti superstations program and disclosed some miracles
of witch doctors, god man. Pacho’s neighbors promised us regarding the
harassment of Pacho.
জয়পুর থানার বালিগুমা গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা এক
পরিবারকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে মারধর ও পরে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল৷
ওই পরিবারের কর্তা পচো সোরেন গত ১১ জানুয়ারি জয়পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷
জয়পুরের বিডিও ১২ জানুয়ারি ওই গ্রামে যান ও আদিবাসী পরিবারটিকে তাঁদের বাড়িতে
ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন ৷ সেদিন দুপুরে ওই গ্রামে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী
সমিতিরও কয়েকজন সদস্য ওই গ্রামে যায়। পচো সরেনের অভিযোগ, ২৮ ডিসেম্বর
গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁকে, তাঁর স্ত্রী ও
দুই মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ৷ তাঁদের ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয় ৷ এরপর বিনা
চিকিৎসায় তাঁদের বাড়িতে আটকে রাখে ৷ পরের দিন তাঁরা কোনওক্রমে বাড়ি থেকে পালিয়ে
বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি হন ৷ ৪ জানুয়ারি তাঁরা সুস্হ হলে তাঁর শ্বশুর বাড়ির
লোকেরা তাঁদের নিয়ে যান ওই থানার ভোলারডাঙা গ্রামে ৷ ৯ জানুয়ারি তাঁরা নিজেদের
বাড়িতে ফিরে এলে, ১০ জানুয়ারি গ্রামে সালিশি সভা ডাকেন গ্রামের
মোড়ল ৷ সেখানে তাঁদের ডাইনি বলে ফের অপবাদ দেওয়া হয় ও বেলা ১২ টার মধ্যে গ্রাম
ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেওয়া হয়৷ তাঁরা গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে না চাইলে তাঁদের ফের
মারধর করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ তিনি থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন , তাতে গ্রামের
মোড়ল-সহ ১২ জন গ্রামবাসীর নাম দেওয়া হয়েছিল ৷ তাদের বিরুদ্ধে সালিশি সভা করা ও
তাঁদের মারধর করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল ৷
১২
জানুয়ারি অভিযোগের ভিত্তিতে দিলীপ মান্ডি নামে একজন কে গ্রেপ্তার করে জয়পুর থানা।
১৩ জানুয়ারি প্রশাসনের উদ্যোগে পুলিশি প্রহরায় পচোর পরিবারকে গ্রামে ফেরানো হয়। ১৮
জানুয়ারি ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি বালিগুমায় একটি ডাইনি প্রথা বিরোধী
সচেতনতা শিবির পরিচালনা করে। পুরো অনুষ্ঠানটিতে পচোর পরিবার দিলীপ মান্ডির পরিবার
সহ গ্রামের সকল মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গ্রামবাসীরা কথা দিয়েছেন তারা পচোর পরিবার কে
স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে কোনো রকম বাধা দেবেন না।