আন্দামান নিকোবর দীপপুঞ্জের গভীর অরণ্যে কিছু পর্যটক খাবারের বিনিময়ে নগ্ন জারোয়াদের নাচ দেখছে এবং এসবের আয়োজন করেছে কিছু পর্যটন সংস্থা, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও সেনা- এরকমই অভিযোগে উত্তাল আন্দামান প্রশাসন এবং মিডিয়াকুল। মিডিয়া এও বলছে আন্দামানে এই ‘হিউম্যান সাফারি’ নাকি বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে। এধরনের অভিযোগে যেখানে কেন্দ্রিয় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হয়া উচিৎ, সেখানে আন্দামান প্রশাসন প্রাথমিক ভাবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিতে চাইছে। এমনকি, যে প্রথম এই নাচের ভিডিও ফুটেজটি তুলেছিল এবং মিডিয়াকে দিয়েছিল তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছে। এটা নিজেদের দোষ ঢাকতে অন্যদিকে পাবলিকের মন্যগ ঘোরানোর চেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।
নগ্ন হিংস্র জারোয়ারা আজ কমতে কমতে মাত্র ২৪০ জনে এসে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা টুকুও কতদিন থাকবে বলা যায়না। দীর্ঘ বছর ধরে মনোবিদ, সমাজবিদদের দ্বারা ওদের পাল্টানোর চেষ্টা করলে আজ হয়তো সমাজের মূলস্রোতে আনা যেত। তা না করে ওদের নাচ দেখিয়ে বিদেশি পর্যটকদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা? ছি।