Wednesday, September 4, 2019

আমাজন-আমেরিকা- চিন কঙ্গো

পৃথিবীর দুটি ফুসফুস। বাম ফুসফুসটি দক্ষিণ আমেরিকায়, আমাজনের জঙ্গল। ডানটি আফ্রিকার কঙ্গোতে। ব্রাজিলের প্রেসিডেণ্ট ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, আমাজনকে খনিমালিকদের জন্য  উন্মুক্ত করে দেওয়া হল। আরও ঘোষণা, সেখানে জঙ্গল কেটে চাষবাস করতেও কোনো বিধি নিষেধ রইল না। যেই না বলা, মার্কিন শিল্পগোষ্ঠীদের নজর চলে গেল উর্বর আমাজনের দিকে।
ওদিকে কঙ্গোর রেইন ফরেস্ট থেকে লক্ষ লক্ষ চিরহরিৎ বৃক্ষ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিনে। চিন আমেরিকার জন্য সস্তার আসবাবপত্র বানিয়ে দেয়। তার প্রায় পুরোটাই এখন কঙ্গোর অরণ্য থেকে সরবরাহ হয়।
শক্তিধর দেশগুলির নজর আফ্রিকায়। অসাম্য-দূর্নীতি-গহযুদ্ধ-অস্থিরতা লেগে থাকা দেশগুলির দিকে। যেখানে পরিবেশ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ খুবই কম, থাকলেও সেখানে কিছু খুচরো পয়সা ছড়ালেই সবাইকে কেনা যায়। সরাসরি ব্যবসায় অসুবিধে হলে যে কোনো একটি স্থানীয় সংস্থা কে শিখণ্ডি রূপে দাঁড় করিয়ে দিলেই হল।
শেষ কয়েক বছরে কঙ্গো থেকে চিনে যাওয়া কাঠের পরিমান প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। চিন নিয়ে যাচ্ছে একেবারে গোল গোল কাঠের লগ। গাছ কাটা হচ্ছে মেশিনে। কাঠ কাটা, চেরাই কোনোটাই কঙ্গোতে হচ্ছে না। চিনের কাঠ ব্যবসায়  কঙ্গোর স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবুও স্থানীয় জোরদার প্রতিবাদ নেই। কেন?
উত্তর পাবেন এখানে। ছত্তিশগড়ে পারসায়, ঝাড়খণ্ডে পশ্চিম সিংভুমে, পুরুলিয়ার অযোধ্যায়। কোন কৌশলে জল-জঙ্গল-জমিকে  বৃহৎ পুঁজির হাতে তুলে দেওয়া যায় তার রোল মডেল ভারত, নেহেরুর আমল থেকেই।

Biplab Das 20-04-19
Photo courtesy:  google.com

No comments: