https://www.facebook.com/photo.php?fbid=2553689734651413&set=a.104403046246773&type=3&theater
‘ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ডে’( WORLD CAR FREE DAY ) আগামী ২২ সেপ্টেম্বর, রবিবার।
বেশ কয়েকটি দেশের বেশ কয়েকটি শহরে চলবেনা বাস, ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরবাইক। বছর পঞ্চাশেক আগে খনিজ তেলের সঙ্কটের সময় কোথাও কোথাও এরকম দিন পালনের প্রতীকী প্রয়োজন পড়েছিল। সময় পাল্টেছে। এখন পরিবেশের কথা মাথায় রেখে দিনটি পালিত হয়। কলম্বিয়ার বোগোতার মত বেশ কিছু শহরে বছরে একবার মাত্র ‘কার ফ্রি ডে’ নয়, সপ্তাহে বা মাসে এক দিন করে গাড়ি চালানো হয়না। সবাই যায় হেঁটে বা সাইকেলে।
বেশ কয়েকটি দেশের বেশ কয়েকটি শহরে চলবেনা বাস, ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরবাইক। বছর পঞ্চাশেক আগে খনিজ তেলের সঙ্কটের সময় কোথাও কোথাও এরকম দিন পালনের প্রতীকী প্রয়োজন পড়েছিল। সময় পাল্টেছে। এখন পরিবেশের কথা মাথায় রেখে দিনটি পালিত হয়। কলম্বিয়ার বোগোতার মত বেশ কিছু শহরে বছরে একবার মাত্র ‘কার ফ্রি ডে’ নয়, সপ্তাহে বা মাসে এক দিন করে গাড়ি চালানো হয়না। সবাই যায় হেঁটে বা সাইকেলে।
৩৬৫ দিনে ১ দিন দূষণ কমলে কী আর হবে?
মানছি আপনার কথা। এতে হয়ত ১ শতাংশও দূষণ কমবে না। কিন্তু মাত্র ৫ শতাংশ ডি এ বাড়লেও তো আনন্দের শেষ থাকেনা। তাই ২২ সেপ্টেম্বর ‘কার ফ্রি ডে’ পালন করি চলুন।
এটা একটু বেশিই আঁতলামি হয়ে যাচ্ছে না কি? গাড়ি থাকতে সাইকেল চড়ব, পায়ে হাঁটব?
রোজ সন্ধ্যেয় হুইস্কি ভদকা গিলেও তো পুরুলিয়াতে মহুয়া খেতে যাই। তাই ‘একটা কার ফ্রি ডে’।
আমি একা এটা করলে দূষণ বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে কি?
না, হবে না। এই বিশাল পৃথিবীতে আমি-আপনি নগণ্য। আমাদের কেউ হিসেবের মধ্যে ধরেই না। তাই তো আমার-আপনার গ্ল্যামারও নগণ্য। আসুন একদিন গ্ল্যামার ছাড়ি, প্রয়োজন ছাড়ি। সবাইকে বুক বাজিয়ে শেয়ার করে জানিয়ে দিন ‘কার ফ্রি ডে’।
যে কাজগুলো গাড়ির জন্য করলাম না। সেগুলো তো পরের দিন করতে হবে। কাজটির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ধোঁয়া সেইই তো বেরোলো। লাভ কিছু হল কি?
কখনও হিসেব কষে দেখেছি, সারাদিনে আমরা অ-কাজে কতটা ধোঁয়া বের করি? কিছু অকাজের ধোঁয়া তো বেরোলো না। তাই তো হ্যাপি ‘কার ফ্রি ডে’।
‘কার ফ্রি ডে’ পুঁজিবাদী অর্থনীতির ক্রাইসিস থেকে উঠে আসা একটি আইডিয়া। ক্রাইসিস মোকাবিলায় তারা এটাকে হুজুগে পরিনত করতে চাইছে।
ঠিকই ধরেছেন। তবে এটা মানেন তো ক্রাইসিস থেকে উঠে আসা ঈশ্বরেরা আজ হুজুগ। এজন্যই তো বলছি, করুন না একটামাত্র ‘কার ফ্রি ডে’।
সেদিনে কী করবে পরিবহনের সাথে বিভিন্ন ভাবে যুক্ত ‘দিন আনি দিন খাই’ শ্রমিকেরা?
শ্রমিকটি কোনো দিন প্রাণ ভরে শ্বাস পেয়েছে কিনা জেনেছি? শুধিয়েছি কখনও, সে একদিন উপোষের বিনিময়ে শ্বাসবায়ু চাইছে নাকি? তাকে চুপি চুপি ডেকেছি পায়ে হাঁটার মিছিলে? তাকে বলেই দেখুননা ‘কার ফ্রি ডে’র গল্প।
গাড়ি না হয় চলল না। কিন্তু কারখানা? থার্মাল পাওয়ার প্ল্যাণ্ট? রান্নার উনুন?
ক্লাসে সবাই ফার্স্ট হয়? সেকেণ্ড, থার্ড, ফোর্থ...এরাও থাকে তো। তাইতো একটা দিন শুধুমাত্র আমার-আপনার গাড়ি বন্ধ। ‘কার ফ্রি ডে’।
মা দিবস, বাবা দিবস, পরিবার দিবস, ভালবাসা দিবস- হাঁফিয়ে উঠছি। আর কত দিবস পালন করব?
খাতা, পেন , ক্যালকুলেটর নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় হিসেবে বসুন। দেখুন, একটাই দিবস পালন করতে ইচ্ছে করবে - 'কার ফ্রি ডে'।
ভারতের মত গরিব দেশে আশি ভাগ লোকের কোনোরকম মোটরচালিত যান নেই। গাড়ি চাপা তাদের কাছে বিলাসিতা।তারা তো দূষণ ঘটায়নি। এখানে এসব হুজুগের দরকার আছে?
হ্যাঁ, আছে বৈকি। একদিন তাদের মত হেঁটে তাদের স্যালুট করার সুযোগ হারাবেন কেন? তাই তো বলছি, ২২ সেপ্টেম্বর ‘কার ফ্রি ডে’।
সেদিন আমি তো হাঁটছি, আপনি?
Biplab Das 14-09-2019
সেদিন আমি তো হাঁটছি, আপনি?
Biplab Das 14-09-2019
Photo courtesy: google.com
No comments:
Post a Comment