একটি নদীর বুক।
ধু ধু
করছে বালি। বালির
রং ঠিক
সাদা নয়। কাঁকুরে
লালচে।
বালির মাঝে
মাঝে ইতিউতি
উঁকি মারছে
পাথরের স্তূপ
এবং মলিন
ঘাস।
নদীতে জল
আছে . . .
. . .এখানেই
গত একশো
বছরের ওপর
ধরে হয়ে
আসছে মুড়ি
মেলা।
প্রতি
বছর মাঘ
মাসের ৪ (এবছর ১৮ জানুয়ারি) তারিখ বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদীর চরে এই অভিনব মেলাটি বসে। ভেলাইডিহা, লক্ষীশোল . . .
. . . দর্শনার্থীরা মেলায় কিছু কেনেন না। মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজ, লঙ্কা, বেগুনি, এমনকি শালপাতার থালা- সব বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন। মুড়ি মাখতে প্রয়োজনীয় জল সংগ্রহ করেন নদীতে চুয়া কেটে।. . .এই লোকায়ত প্রথাটি কালক্রমে পরিবর্তিত হতে হতে এখন মুড়ি খাওয়াটি মুখ্য হয়ে উঠেছে। কীর্তন হয়, তবে তা আশ্রমের এক কোনায়। . . .
কেঞ্জাকুড়ার নব্বই বছরের বাসিন্দা গোবর্ধন চন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক। তিনি জানালেন, মানভুমের অন্যতম পরব ‘এখ্যান’ এর সূত্র ধরে. . .
. .
. মাঠে খিচুড়ি রান্না করে বড় বড় কংক্রিটের চৌবাচ্চায় ভর্তি করা হয়। সারা দুপুর ধরে হাজার হাজার মানুষ মাঠে পাত পেড়ে বসে খিচুড়ি খান।. . .
. .
. কিন্তু মুড়ির মতো একটি দৈনন্দিন খাবারকে নিয়ে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এত লোকের সমাগম? তা কেবল রাঢ়বঙ্গেই সম্ভব।
বিপ্লব দাস
১৭/০১/২০১৮
No comments:
Post a Comment