ও পাড়ার 'গুলি' এপাড়ায়
চলে এসেছে। ওপাড়াটা
তাঁতি পাড়া। আসার
সময় গুলি
নিয়ে এসেছে
বেগুনি রঙের
ছোপ, পচা ভাতের ফ্যানের গন্ধ। এপাড়া ঘোষ পাড়া, রাস্তায় ভর্তি গোবর, গরুর
মুত, খড়ের টুকরো। এভাবেই গনেশদের ডাংগুলির গুলিগুলো পাড়া পাড়া ঘুরে বেড়ায়, গল্প
করে।
ছেলেপুলের দল
গুনতে শেখে, নামতা শেখে।
অংকগুলো এক
একটা আকারের
হয়ে দাঁড়ায়, ছোট, বড়ো, বেঁটে, লম্বা। শিবুর কাছে ৩০ অংকটি একেবারে ডানদিকে, পরের
লাইনে বাঁদিকে
ফের ৩১
থেকে শুরু
হয়েছে।
এই লাইনটি
শেষ হয়েছে
আবার ৭০
এ। গনেশের এক দুই তিন চার ওপর থেকে নিচের দিকে নেমে যায়, গায়ে গায়ে জড়াজড়ি করে। একই বয়সে মেয়েগুলি কিতকিত খেলে, গোনায় দশ অবধি দৌড়। ওদের অংকেরা ফাঁকা ফাঁকা অবস্থান করে, চানঘাটের বাঁধানো সিঁড়ির মতো, নিপাট, গুছোনো। টুকরি নিয়ে বসে থাকা মুড়ি ভাজা বুড়িটিরও অংকগুলি টুকরি আর টিনের মধ্যে ঢুকে থাকে। যোগ বিয়োগের সময় ঠিক বেরিয়ে পড়ে। একটি টিনের মধ্যে ৩৬ টি অংক ধরে। বুড়িকে পঞ্চাশের সাথে পঞ্চাশ যোগ করতে বললেও প্রথমে টিনের মধ্যে থেকে অংকগুলোকে বের করতে হয়।
বাবিন এসেছে মামাবাড়ি, শেষ দুপুরে মাকে ফাঁকি দিয়ে ডাংগুলি খেলছে। ও অংকগুলোকে ফেলে এসেছে বইয়ের পাতায়, অ্যাবাকাসের খাতায়। সঅব রেখা দিয়ে ঘেরা এক-একটি দ্বিমাত্রিক ছবি। গনেশের সাথে খেলায় পেরে উঠছে না।
biplab das 29/12/2018
No comments:
Post a Comment