পাথরমোড়া, ভড়া, কল্যানপুর থেকে খড় বোঝাই গাড়ি নিয়ে গাড়োয়ান রাতে রওনা দিত। বিষ্ণুপুর যাবে।
জোয়ালের মাঝে
লণ্ঠন পেণ্ডুলামের
মতো।
চাকায় সভ্যতার
ইতিহাস চিড়ে
চ্যাপ্টা হয়ে। ক্ষুর
আর চাকার
একটানা শব্দে
ক্লান্ত গাড়োয়ান
শেষ রাতে
চলন্ত গাড়িতে
খড়ের বিছানায়
ঘুমিয়ে পড়ার
সময় গাড়ি
হয়তো রাধানগর
এসে পড়েছে।
বড় রাস্তার এক কোনায় দাঁড়িয়ে থাকা দুষ্টু ছেলের দল, যারা
শেষ রাতে
এবাড়ির আম, ওবাড়ির জাম, কুলোটা-মূলোটা ঝাড়তে বেরিয়েছে, দিনের বেলা যারা সবার চোখে চক্ষুশূল, চুপিসারে গাড়ির পিছনে হাঁটতে হাঁটতে একটু একটু করে ডানদিকে ঠ্যালা মেরে ঘুরিয়ে দিত মাটির রাস্তায়। সেখানে কোনো চাকার 'লিক' পেয়ে গেলেই গাড়ি চলত নিজের মতো করে। লায়েকবাঁধ বৈদ্যপল্লী হয়ে ভোরবেলা কোনো এক গ্রামের ঘুমভাঙ্গার শব্দে গাড়োয়ানের ঘুম ভাঙ্গত, হয়তো সেটা পাঁচাল গ্রাম।
জানিনা, এর পর কী হত? খড়গুলো সে পাঁচালে বেচে দিয়ে আসত? নাকি ফের রাস্তা খুঁজত বিষ্ণুপুর যাবার।
শুধু এটুকু জানি, দামাল ছেলেগুলোর ভয়ে চাকা এবং রাস্তারা ধীরে ধীরে নিজেদের বদলে ফেলল।
No comments:
Post a Comment